মানুষের কল্যাণের জন্য, এক ইউনিট রক্ত দান

মানুষের কল্যাণের জন্য, এক ইউনিট রক্ত দান

মানুষের যখন রক্তের প্রয়োজন হয় তখন মানুষ হাড়ে হাড়ে টের পায়। রক্ত যোগাড় করা কত কঠিন। কোন মানুষকে যদি বলা হয়, মানুষের কল্যাণের জন্য, এক ইউনিট রক্ত দান করুন ।
অনেক বাহানা করে।
কিন্তু যখন তার প্রয়োজন হবে ,কে রক্ত দেবে?।
কিন্তু রক্ত দেওয়ার মানসিকতা মানুষের মধ্যে নাই, তাই এতো রক্ত সংকট। এমনকি পরিবারের বাবা মারাও তার সন্তানদের এই শিক্ষা কোনদিনই দেয় না, যে সুস্থ শরীরে ১৮ বছরের পরে রক্ত দান করা একান্ত প্রয়োজন।
আমি সব পরিবারের কথা বলছি না, কিছু কিছু পরিবার আছে রক্তদানে পরিবারের সবাই অনুকূল বা প্রতিকূল সমস্যাতে রক্তদান করেন।
কিছু মানুষ আছে যারা রক্তের প্রয়োজনে সব সময় আগ্রহের সঙ্গে রক্ত দান করতে চাই।
সেই মানুষটি হলেন ফিরোজ শেখ, ভিষণ এডুকেশনের ডাইরেক্টর, কালনা হসপিটালে যে কোনো সময় এমার্জেন্সিতে রক্তের প্রয়োজন পরলে বা ডোনারের ব্যবস্থা, এই ফিরোজ শেখ- ই আমাকে সাহায্য করে, আমি তখন ডোনার কে কালনা হসপিটালে নিয়ে যাই।তিনি এখনো পর্যন্ত এক মাসের মধ্যে কালনা ব্লাড ব্যাংকে 75 জন ভিষণ এডুকেশনের স্টুডেন্ট রক্তদান করেছেন। কালনা সেনপাড়া মহিলা পরিচালিত বারোয়ারী তে ১৭ জন ভিষণ এডুকেশনের স্টুডেন্ট রক্ত দান করেছেন। সেনপাড়া মহিলা সমিতির সমস্ত সদস্যকে অন্তর থেকে প্রণাম জানাই ,এই মহৎ কাজে তারা ব্রত হয়েছেন। কালনা লায়ন ক্লাবে 12 জন ভিষণ এডুকেশনের রক্তদান করিয়েছেন। শম্ভুনাথ আগারওয়াল কে অসংখ্য ধন্যবাদ। সমাজ কল্যাণের জন্য রক্তদান শিবিরটা পরিচালনা করেছেন।
আরেকটি দুঃখের বিষয় হল—যে কোনো রক্তদান শিবিরে রক্তদাতা – রক্তদান করেন, তাহাদের কে আমারা কিছুই দিতে পারিনা।
শুধু একটাই ইচ্ছা মনের মধ্যে আসে ,মানুষের কল্যাণ কর, দেশের কল্যাণ কর, তোমার মঙ্গল অবশ্যই হবে।
কিছু বুদ্ধিহীন মানুষ রক্ত কিনতে চায়? এটা কি সম্ভব হয়?.। স্বেচ্ছায় রক্তদান করছেন সেই রক্তকে বাজারে বিক্রি করা এটা কত বড় অপরাধ। মনে হয় বিশ্ব সংসারে ওই ব্যাক্তিকে ক্ষমা করার কোন রাস্তা নেই ।
দামাল ছেলেটিকে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে, ব্লাড ব্যাংকে এসে রক্ত চাইছেন, লজ্জা করে না।? যদি রক্তদান করেন, তবেই রক্ত পাওয়া যাবে। এই কথাটি বলতেই_ মার মুখো হয়ে আসে, কারণ রক্ত তিনি দেবেন না।
অপরের রক্ত নিতে হবে ।
এ কেমন মানসিকতা?।
ছেলে -মেয়েদের বিয়ের সময় কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে, বেশ ভালো চিকেন ,মটন, মুন্ডা, মিঠাই, প্রিয় বন্ধুদের খাওয়ান, কিন্তু যখন রক্তের প্রয়োজন পড়ে পিছন আর কোন বন্ধুই থাকে না।
আমার কিছু বলার নেই, এবার আপনারা বিবেচনা করুন।
সবাই ভালো থাকুন।
সুস্থ থাকুন।
শরীর প্রতি যত্ন নিন।
রক্তদান করুন।
জয় হিন্দ ।